ডেস্ক রিপোটঃ পাবনা গণপূর্ত বিভাগের অফিসে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয়া সেই দুই আওয়ামী লীগ নেতার দুটি শটগানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জেলা পুলিশের মাধ্যমে দুই অস্ত্রের মালিককে এ ব্যাপারে চিঠি পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পাবনা পুলিশ সুপার (এসপি) মহিবুল ইসলাম খাঁন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন, পৌর নির্বাচনের আগে বিলুপ্ত ঘোষিত পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু।
এর আগে গত ১৩ জুন তাদের দুটি শটগান জব্দ করে পুলিশ।
পাবনার এসপি মহিবুল ইসলাম খাঁন জানান, সরকারি অফিসে অস্ত্রের মহড়া দেয়ার ফুটেজ হাতে পাওয়ার পর পুলিশ তদন্তে নামে। গত ১৬ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক অস্ত্র বাতিলের চিঠি ইস্যু করেন।
পাবনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ জানান, অস্ত্র হাতে মহড়া দেয়া দুজন অস্ত্র আইনের শর্ত ভঙ্গ করেছেন। জেলা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে তার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অস্ত্র দুটির লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এর প্রেক্ষিতেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পাবনা গণপূর্ত ভবনে তিনজন ব্যক্তি সদলবলে যেভাবে মহড়া দিয়েছেন তা বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের শর্ত ভঙ্গ করেছে। গণপূর্ত বিভাগ কোনো অভিযোগ না দিলেও জেলা পুলিশ তাদের জায়গা থেকে বিষয়টি তদন্ত করেছে।’
লাইসেন্স বাতিল করায় জব্দ করা অস্ত্রগুলো সরকারের সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়।
এদিকে অস্ত্রের মহড়ার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে অব্যাহতি দিয়ে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না?- তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাজী ফারুক ও বিলুপ্তকৃত পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম আর খান মামুন ও পাবনা জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু ২৫-৩০ জন সহযোগী নিয়ে গত ৬ জুন দুপুর ১২টায় সশস্ত্র অবস্থায় পাবনার গণপূর্ত অফিসে ঢুকে মহড়া দেন।